শীত এলেই ত্বক এবং চুল দুটোই সমস্যার মধ্যে থাকে, চুল ঝড়ে পড়ে। ত্বকে শুষ্কভাব এবং চুলের রুক্ষতার দেখা মেলে। এই সময় অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় পড়ে, বা আগের থেকে থাকলেও শীতকালে এই ঝড়া আরও বেড়ে যায়। চুল আচড়ানোর সময়, গোসলের সময় কিংবা ঘুম থেকে উঠে বালিশে, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চুল পড়ার চিহ্ন পাওয়া যায়।
চুল পড়ে যাবার সমস্যা শুধু আমাদের সৌন্দর্যেই প্রভাব ফেলে না, এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে। তাই এই সমস্যার সমাধানে অনেকে শীতে হেয়ার ফল সল্যুশন খুঁজে থাকেন। বাজারে এই সমস্যা সমাধানের জন্য হরেক-রকম পণ্য পাওয়া গেলেও, ঘরের সহজ উপাদান দিয়ে চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় অনেক কার্যকর হতে পারে।
আমাদের আজকের ব্লগে আপনি জানবেন কেন চুল পড়ে, ঘরোয়া প্রতিকার, হেয়ার কেয়ার টিপস, কোন খাদ্যাভ্যাসে চুল পড়া কমে, ঘরে কীভাবে হেয়ার অয়েল বা হেয়ার সিরাম তৈরি করবেন, এবং শেষ পর্বে কিছু কার্যকর পরামর্শ।
শীতে কেন চুল পড়ে? (চুল পড়ার প্রধান কারণগুলো)
চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর পেছনে বিভিন্ন কারণ লুকিয়ে থাকে। নিচে সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরা হলো –

১) পুষ্টির ঘাটতি
শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ vitamin A, D, E, B-complex, iron, zinc না থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়।
- এতে চুল ভেঙে যায়।
- রুট শক্ত থাকে না।
- নতুন চুল জন্মাতে সময় লাগে।
শীতকালে আমরা তুলনামূলক কম পানি খাই, fresh food কম খাই, ফলে nutrition balance নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২) রক্তসঞ্চালন কমে যাওয়া
শীতের ঠান্ডা বাতাসে স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন কমে যায়। ফলে hair follicles প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না এবং চুল দুর্বল হয়ে পড়ে।
৩) ডিহাইড্রেশন
আমাদের শরীর, স্বাস্থ্য্য সহ চুলের যত্নও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। এমনিতেই শীতে আমাদের পানি খাওয়ার অভ্যাস কমে যায়। যার ফলে শরীরে ও চুলের স্ক্যাপ্লে পানির ঘাটতি দেখা যায় ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। ডিহাইড্রেটেড অর্থাৎ চুল রুক্ষ হয়ে যাবে, চুলে ফ্রিজিনেস দেখা দেয়, এবং চুল ভেঙে পড়ে।
৪) স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা
বেশি বেশি চিন্তা করা বা স্ট্রেস আমাদের চুল পড়ার পেছনের অন্যতম প্রধান কারণ। স্ট্রেস বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চুল বেশি পড়া শুরু হয়।
৫) হরমোনাল পরিবর্তন
চুল পড়া অনেকসময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণের হয়ে থাকে, থাইরয়েড এর সমস্যা, বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
৬) অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার
চুল রং করা, চুলে দরকার থেকে বেশি ক্যামিক্যাল ব্যবহার করলে এটি আমাদের চুলের প্রোটিন লেয়ার দুর্বল করে দেয়, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
৭) শীতে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার
শীতে আমরা অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করি, আবার গরম পানি দিয়ে চুলও পরিষ্কার করি। গরম পানি আমাদের স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল সরিয়ে দেয় এবং চুল রুক্ষ হয়ে ভেঙে যায়। তাই শীতে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা জরুরি।
চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় (কার্যকরী প্রতিকার)
বারবার হেয়ার সল্যুশন নিতে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, চুল পড়া প্রতিরোধ করতে ঘরেই তৈরি করতে পারেন কার্যকর কিছু ঘরোয়া রেমেডি।

১) পেঁয়াজের রস (Onion Juice)
পেঁয়াজে থাকা প্রাকৃতিক সালফার আমাদের রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়, চুলের ফসিল শক্ত করে, এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
কীভাবে তৈরি করবেন
- কীভাবে তৈরি করবেন
- ছেঁকে রসটি আলাদা করুন
- তুলা রসে ভিজিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।
- ৩০ মিনিট রাখার পরে, হালকা শ্যাম্পু করা ধুয়ে ফেলুন।
( সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করুন)
২) অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা স্ক্যাল্প কে ঠান্ডা রাখে, চুলের গোড়া শক্ত করে এবং খুশকি কমায়।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারবিধি –
- তাজা অ্যালোভেরা জেল বানিয়ে তা স্ক্যাল্পে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
- তারপর পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
৩) মেথি বীজ
মেথীতে থাকা প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিড আমাদের চুলের পাতলা হওয়া কমায়।
কীভাবে তৈরি করবেন –
- ২ চামচ (টেবিল) মেথি বীজ রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
- পরদিন পেস্ট তৈরি করুন।
- স্ক্যাল্পে পেস্টটি লাগান, এবং ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৪) নারকেল তেল + লেবুর রস
নারকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের চুলকে শক্ত করে এবং ভাঙা রোধ করে। আর অন্যদিকে লেবু চুলের খুশকি কমায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন –
- ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- মিশিয়ে নিন ভালো করে
- স্ক্যাল্পে লাগান
- ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন
৫) ডিম + দই হেয়ার মাস্ক
ডিমে থাকা প্রাকৃতিক প্রোটিন, চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, এবং সাথে দই স্ক্যাল্প-কে হাইড্রেড করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন –
- ১ টি ডিম ও ২ টেবিল চামচ দই
- একটি বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
- চুলে লাগিয়ে নিন
- ৩০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন
ঘরোয়া উপায়ের দরকারি কিছু হেয়ার কেয়ার টিপস

শুধু ঘরোয়া উপায় নয়, নিয়মিত চুলের যত্নের সঠিক নিয়ম মানলে চুল পড়া অনেক কমে যায়।
১) নিয়মিত তেল মালিশ করা
আমাদের চুলের সুস্বাস্থ্য্যের জন্য নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করা খুবই জরুরি। তেল মালিশ করার সময় আঙ্গুল দিয়ে হালকা প্রেসার দিলে স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে চুলের গোড়াও অনেক শক্ত হয়।
২) স্ক্যাল্পে গরম পানি পরিহার করুন
আমরা অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করি, তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত গরম পানি যেন স্ক্যাল্পে না যায়। গরম পানি আমাদের স্ক্যাল্পকে শুকিয়ে দেয় যাতে চুল ভাঙতে শুরু করে।
৩) অতিরিক্ত হিট এভয়েড করুন
অতিরিক্ত হিট ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন, হিট স্টাইলিং চুল ভাঙা এর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ। এটি আমাদের চুল কে রুক্ষ করে এবং পাতলা করে দেয়।
৪) মাইক্রোফাইবার তোয়াল ব্যবহার করুন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ তোয়াল আমাদের চুল অনেক ক্ষতি করে যা চুল ভাঙে ফেলে। চেষ্টা করুন মাইক্রোফাইবার তোয়াল ব্যবহার করুন তা অনেক নরম হয় তাই ব্রেকেজ ও কম হয়।
চুল পড়া বন্ধে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস (ডায়েট টিপস)
চুলের সুস্বাস্থ্য্য্য শুধুমাত্র বাহিরের যত্নের উপর নির্ভর করে না, ভিতর থেকেও পুষ্টি পাওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যতই হেয়ার ওয়েল, হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন, যদি শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল না পায় তবে চুলের গোড়া দুর্বল হবে, নতুন চুলের গজানো কমে যাবে এবং চুল পড়া থামবে না। তাই চুল পড়া প্রতিরোধে ব্যালেন্স ডায়েট অপরিহার্য।
নিচে চুলের জন্য জরুরি কিছু খাবার ও পুষ্টি তালিকা দেওয়া হলো –
১) প্রোটিন – চুলের প্রধান উপাদান
চুলের মূল উপাদান হলো কেরাটিন, যা এক ধরনের প্রোটিন। এই প্রোটিনের ঘাটতিতে চুল পাতলা হয়ে পড়ে, সহজে ভেঙে যায়, এবং চুলের বৃদ্ধি কমে যায়। তাই আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখা দরকার।
প্রোটিনের ভালো উৎস –
- ডিম
- মাছ
- মুরগি
- ডাল
- চিনাবাদাম
- দুধ
প্রতিদিন অন্তত ১ থেকে ২ বেলা প্রোটিন খাবার তালিকায় রাখুন।
২) আইরন – চুলে অক্সিজেন পৌঁছানোর মাধ্যম
আইরন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, যা আমাদের চুলের লোমকূপে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এই আয়রন-এর ঘাটতিতে আমাদের চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে যায় যাতে চুল ঝড়ে পড়া বেড়ে যায়।
আইরনের ভালো উৎস –
- পালং শাক
- বিট রুট
- লিভার
- কলিজা
- ছোলা
বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে আয়রনের অভাব সাধারণ, তাই আইরন খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৩) ভিটামিন এ (Vitamin A)
ভিটামিন এ আমাদের স্ক্যাল্প-কে ময়েশ্চারাইজ করে, এবং ত্বকের প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তবে অতিরিক্ত নিলে চুল পড়া উল্টা বাড়তে পারে, তাই বুঝে শুনে ব্যালেন্স করে গ্রহণ করুন।
ভিটামিন এ ভালো উৎস –
- গাজর
- মিষ্টি কুমড়া
- পেঁপে
৪) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
এই উপদানটি আমাদের চুলের স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, স্ক্যাল্পের জ্বালাপোড়া কমায় এবং চুলের লোমকূপকে মজবুত করে।
ওমেগা-৩ ভালো উৎস –
- সামুদ্রিক মাছ
- চিয়া সিড
- ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি
৫) ভিটামিন সি (Vitamin C)
চুলের শিকড় শক্ত করতে কোলাজেন এর প্রয়োজন, ভিটামিন সি আমাদের চুলের কোলাজেন বাড়ায় এবং আইরন শোষণ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি এর ভালো উৎস –
- কমলা
- লেবু
- পেয়ারা
- স্ট্রবেরি
৬) ভিটামিন ডি (Vitamin D)
যদি আমাদের চুলে ভিটামিন ডি এর অভাব পড়ে তাহলে চুল অনেক পাতলা হয়ে যায় এবং চুল অনেক বেশি পড়তে থাকে।
ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস –
- রোদ
- ডিম
- দুগ্ধজাত খাবার
৭) পানি
ডিহাইড্রেশন বা পানির অভাবে স্ক্যাল্প শুকিয়ে যায়, শুকনো স্ক্যাল্পে খুশকিও অনেক বেশি হয়। তাছাড়া পর্যাপ্ত পানির অভাবে চুল ভেঙে যায়। তাই দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।
ঘরে তৈরি হেয়ার সিরাম বা তেল
শীতে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যায়, চুলের গোড়া দুর্বল হয়। হেয়ার অয়েল /হেয়ার সিরাম চুলে পুষ্টি জোগায়, রুট শক্ত করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। বাজারে অনেক সিরাম মিললেও ঘরে বানানো সিরাম ক্যামিক্যাল-ফ্রি এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর। নিচে কয়েকটি ঘরোয়া হেয়ার সিরাম/তেল তৈরির সহজ রেসিপি দেওয়া হলো –
১) পেঁয়াজ রস + নারকেল তেল + কালোজিরা তেল
উপকারিতা
- চুলের গোড়া শক্ত করে
- চুলের পুনঃ বৃদ্ধি বাড়ায়
- চুলের খুশকি কমায়
বানাতে যা যা লাগবে
- নারকেল তেল ১ কাপ
- পেঁয়াজের রস ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ
- কালোজিরা তেল ১ টেবিল চামচ
কীভাবে বানাবেন
ধাপ ১ – নারকেল তেল হালকা গরম করে নিন
ধাপ ২ – গরম নারকেল তেলে পেঁয়াজের রস দিন
ধাপ ৩ – এই মিক্সে কালোজিরা যোগ করুন
ধাপ ৪ – মিক্সটি ৫ থেকে ৭ মিনিট গরম করুন
ধাপ ৫ – ঠান্ডা করে বোতলে রেখে দিন
ব্যবহারবিধি
- সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন
- ১ ঘণ্টা রেখে তারপরে শ্যাম্পু করুন
২) অ্যালোভেরা + ক্যাস্টর অয়েল হেয়ার সিরাম
উপকারিতা
- চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়
- চুলকে অনেক স্মুথ করে
- চুলের ভাঙা কমায়
বানাতে যা যা লাগবে
- অ্যালোভেরা জেল ২ টেবিল চামচ
- ক্যাস্টর অয়েল ১ টেবিল চামচ
- নারকেল তেল ১ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
ধাপ ১ – সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
ধাপ ২ – কাচের জারে সংরক্ষণ করুন
ব্যবহারবিধি
- রাতভর রেখে দিন
- সকালে ধুয়ে ফেলুন
৩) কারি পাতা + তিলের তেল
উপকারিতা
- চুলের সাদা রং আসা ধীর করে
- চুলের গোঁড়া মজবুত করে
- চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
কীভাবে বানাবেন
ধাপ ১ – এক মুঠো কারি পাতা তিলের তেলে সেদ্ধ করুন
ধাপ ২ – পাতাগুলো কালো হলে নামিয়ে তেল ছেঁকে রাখুন
ব্যবহারবিধি
- সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করুন
৪) ভিটামিন E হেয়ার সিরাম
উপকারিতা
- চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
- চুলের শুষ্কতা কমায়
- চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে
বানাতে যা যা লাগবে
- ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ২টি
- অলিভ ওয়েল ২ টেবিল চামচ
ব্যবহারবিধি
- হালকা গরম করে মাথায় লাগান
- ১ ঘণ্টা রাখুন
- ভালো করে ধুয়ে ফেলুন
সারসংক্ষেপ
চুল পড়ার সমস্যা সাধারণত সব-সময়ই থাকলেও শীতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়, কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় স্ক্যাল্প শুকিয়ে যায় যা রক্তসঞ্চালন কমায় এবং গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই চুল পড়ে বা পাতলা হয়ে গেলে ভয় না পেয়ে সঠিক যত্ন নেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।



